প্রশ্নঃ ‘দাঁত গুলো বের করে সে কামটের মতোই হিংস্র ভঙ্গি করে।’- কে কার প্রতি এরূপ আচরণ করেছিল? তার এরূপ আচরণের কারণ কী ?
উত্তরঃ উচ্ছব বাসিনীর প্রতি এরূপ আচরণ করেছিলো ।
গল্পটিতে একদিকে আছে এক সম্পন্ন সংসার আর অন্যদিকে রয়েছে চির-নিরন্ন মানুষের অবশ্যম্ভাবী অবুঝ সংঘাতের গল্প।
আমরা দেখি, তান্ত্রিক ব্রাহ্মণ বিধান দিয়েছেন – যতসময় যজ্ঞ চলবে ততক্ষণ বাড়িতে কেউ কিছু খেতে পারবে না। উচ্ছবের ক্ষুধা উঠতে থাকে। তারপর পূজো শেষ হবার ঠিক পরেই রোগশয্যায় মুমূর্ষু কর্তা চোখ বোজেন। নতুন শাস্ত্রীয় বিধান জারি হয় – অশৌচের বাড়িতে যা কিছু রান্না করা খাবার – ফেলে দিতে হবে সব।
স্বল্পবুদ্ধি উচ্ছব যখন বুঝে ফেলেদেওয়া হবে সব ভাত, তখন তার অন্তরাত্মা আহত আর হিংস্র হয়ে উঠে। ক্ষুধার্ত পেট তান্ত্রিকের রক্ত চক্ষুকে মানতে চায় না। তার কাছে তাই শৌচ বা অশৌচ বলে কিছু নেই।
বাসিনি বার বার তাকে বুঝাতে চেষ্টা করে ‘অশুচ বাড়ির ভাত খেতে নি দাদা।’ কিন্তু বাসিনী যত না করে সে ততো হিংস্র ও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ক্ষুধার্ত উচ্ছব ওসব কিছু শুনতে চায়না । উচ্ছব ক্ষুধার তাড়নায় হিংস্র হয়ে ওঠে । তাই সে বাসিনীর দিকে ‘দাঁত গুলো বের করে সে কামটের মতোই হিংস্র ভঙ্গি করে।’
Post a Comment