মহাশ্বেতা দেবীর ভাত গল্পের গুরুত্বপূর্ন সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

মহাশ্বেতা দেবীর ভাত গল্পের গুরুত্বপূর্ন সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

মহাশ্বেতা দেবীর ভাত




কমবেশি ২০ টি শব্দে উত্তর দাও ।

১) ‘এ সব কথা সত্যি না মিথ্যে কে জানে’- কোন কথার কথা বলা হয়েছে ?

উঃ বড় পিসিমার সাথে শিবঠাকুরের বিয়ের কথা, পিসিমা বলেছিলো শিব তার পতিদেবতা । এ সব কথা প্রসঙ্গেই উক্তিটি করেছেন বড় বউ ।

২) ‘বড় বউয়ের কথা শুনে বড় পিসিমা বলেন’- কী বলেছিলেন ?

উঃ উচ্ছবকে কোথা থেকে এনেছে – সে কথার উত্তর দিতে গিয়ে বলেন- ঝড় জলে দেশ ভেসে গেছে, বাসিনি এই উচ্ছবকে কাঠ কাটার জন্য এনেছে ।

৩) ‘ময়ূরছাড়া কার্তিক আসবে নাকি ?’ – এ কথা কেন বলা হয়েছে ?

উঃ বড় বউ উচ্ছবকে দেখে যখন বলেন ‘কীরকম দেখতে’ তখন তার প্রতি উত্তরে ‘ঠেস দিয়ে’ পিসিমা একথা বলেন ।

৪) ‘সেই জন্যেই তাদের চাকরী করা হয়ে ওঠেনি।’- কাদের কেন চাকরী করা হয়ে উঠেনি ?

উঃ বড় বাড়ির ছেলেদের । কারন তারা বেলা এগারোটার আগে ঘুম থেকে ওঠে না ।

৫) ‘বোঝা গেল যখন, তখন আর কিছু করবার নেই।’- কোন্‌ প্রসঙ্গে এই উক্তি ?

উঃ বড়ো বাড়ির বুড়ো কর্তার লিভারে ক্যান্সার ধরা পড়ার প্রসঙ্গে এই উক্তি ।

৬) ‘বড়ো বউ ভাবতে চেষ্টা করে, তখনও চাঁদ সূর্য উঠবে কি না।’- কেন এই ভাবনা ?

উঃ শ্বশুরকে বড় বউ ঠাকুরদেবতার মতোন মান্য করে, তাই বড়ো বউ ভাবে যখন শ্বশুর থাকবেন না, তখনও চাঁদ সূর্য উঠবে কিনা ।

৭) ‘এখন সে সব কি আর করতে হবে না, কে জানে।’- এখানে কি সব করার কথা বলা হয়েছে ?

উঃ বুড়ো কর্তার জন্য বড় বউ দই পেতে ইসবগুল দিয়ে শরবত করে দিত, রুটি-লুচি করে দিত, বিছানা পেতে দিত, পা টিপে দিত। এই সকল কাজের কথাই এখানে বলা হয়েছে ।

৮) ‘সে গুলো সব এক মাপে কাটতে হবে।’- এখানে কি কাটার কথা বলা হয়েছে?

উঃ বেল, ক্যাওড়া, অশ্বত্থ, বট, তেঁতুল গাছের কাঠ এসেছে আধমণ করে । সেগুলো সব এক মাপে কাটতে হবে যজ্ঞ করবার জন্য ।

৯) ‘চোখ ঠিকরে বেরিয়ে আসে তার।’- কার কেন চোখ ঠিকরে বেরিয়ে আসে ?

উঃ বড়ো বাড়ির বিভিন্ন ধরনের চালের বাহার দেখে উচ্ছবের চোখ ঠিকরে বেরিয়ে আসে – চরম বিস্ময়ে ।

১০) ‘বড়ো পিসিমা বেচেও দিচ্ছে নুক্কে নুক্কে ।’ – কী বেচার কথা এখানে বলা হয়েছে ?

উঃ বড়ো বাড়িতে যে চালের পাহাড় জমেছে সেখান থেকে বড়ো পিসিমা বাসিনীর দ্বারা চাল লুকিয়ে লুকিয়ে বিক্রি করে । এখানে সে কথাই বলা হয়েছে ।

১১) ‘দে বাসিনী ব্যাগ্যতা করি তোর।’- কে কীসের ব্যাগ্যতা করছে ?

উঃ কয়েকদিন ধরে অভুক্ত থাকা উচ্ছব বাসিনীর কাছে ‘এক মুষ্টি চাইলে’র জন্য ‘ব্যাগ্যতা’ করেছে ।

১২) ‘গাঁ সম্পক্কে দাদা তো হও।’- কে কোন প্রসঙ্গে একথা বলেছে ?

উঃ কয়েকদিন ধরে অভুক্ত থাকা উচ্ছব বাসিনীর কাছে যখন ‘এক মুষ্টি চাইলে’র জন্য ব্যাগ্যতা করেছিলো তখন বয়সে ছোট বাসিনী বলেছে ‘আরে আরে ! করো কি উচ্ছব দাদা। গাঁ সম্পক্কে দাদা তো হও।’

১৩) ‘উচ্ছব বলে চলছিল ভগমান! ভগমান! ভগমান!’ – কেন উচ্ছব এমন বলেছিলো ?

উঃ একদিন তুমুল ঝড় বৃষ্টিতে উচ্ছবের বৌ , ছেলে মেয়েকে জাপটে ঘরের মাঝ খুঁটি ধরে যখন কাঁপছিল – তখন মাঝ খুঁটিটি ধনুষ্টঙ্কার রোগীর মতো কেঁপে কেঁপে উঠেছিলো । এই দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উচ্ছব বলে চলেছিল ‘ভগমান! ভগমান! ভগমান!’

১৪) ‘সকাল হতেই বোঝা গিয়েছিল – সর্বনাশের বহরখানা’ – এখানে কোন সর্বনাশের কথা বলা হয়েছে ?

উঃ একদিন তুমুল ঝড় বৃষ্টিতে উচ্ছবের বউ- ছেলেমেয়ে সব বন্যার স্রোতে ভেসে গিয়েছিলো – এখানে সেই ঘটনাকেই ‘সর্বনাশ’ বলা হয়েছে ।

১৫) ‘সাধন দাশের কথা উচ্ছব নেয় না।’- সাধন দাশের কোন কথা উচ্ছব নেয় না ?

উঃ তুমুল ঝড় বৃষ্টিতে বন্যায় যে উচ্ছবের ছেলে মেয়ে বউ সব হারিয়ে গেছে – কিন্তু উচ্ছব সেটা মেনে নিতে না পেরে ঘরের চালের নীচ থেকে তাদের সাড়া পাবার আশায় পাগলের মতো খুঁজে চলে – কিন্তু সাধন দাশ তাকে বোঝায় কেউ নেই সেখানে । কিন্তু একটা উচ্ছব শুনতে চায়না ।

১৬) ‘সে কৌটাটা বা কোথায় ।’- এখানে কোন কৌটার কথা বলা হয়েছে ?

উঃ উচ্ছবের টিনের মুখবন্ধ একটা কৌটা ছিল যেখানে জমি চেয়ে দরখাস্তের নকল রাখা ছিল । এখানে সেই কৌটার কথাই বলা হয়েছে ।

১৭) ‘এভাবে কিছুদিন যায়’- এভাবে বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?

উঃ স্ত্রী সন্তান হারিয়ে পাগল উচ্ছবের যখন সম্বিত ফিরে তখন ড্রাইডোল চাল চিবিয়ে সে জল খেয়ে বেঁচে ছিল । এখানে এই ভাবে কাটানো সময়কেই বোঝানো হয়েছে ।

১৮) ‘মরেচে যারা তাদের ছরাদ্দ কত্তে হয়।’- এখানে কারা কাদের ‘ছরাদ্দের’ কথা বলেছে ?

উঃ উচ্ছবের গ্রামের লোকজন উচ্ছবকে তার মৃত স্ত্রী সন্তানদের ‘ছরাদ্দের’ কথা অর্থাৎ শ্রাদ্ধ করবার কথা বলেছে ।

১৯) ‘উচ্ছব হঠাৎ খুব বুদ্ধিমান সাজতে চায়...’ কেন উচ্ছব হঠাৎ বুদ্ধিমান সাজতে চায় ?

উঃ বন্যায় বৌ ছেলে মেয়েকে হারিয়ে যখন উচ্ছব কোলকাতায় যাবে বলে ঠিক করেছে তখন সাধন দাশ তাকে বলে ‘সরকার ঘর কত্তে খরচা দেবে শুনছনা ?’- এই কথা শুনে উচ্ছব হঠাৎ খুব বুদ্ধিমান সাজতে চায় ।

২০) ‘এ গল্প গ্রামে সবাই শুনেছে ।’- এখানে কন গল্পের কথা বলা হয়েছে ?

উঃ বাসিনী যে বড় বাড়িতে কাজ করে , সেখানে ভাতের অফুরন্ত ভান্ডার রয়েছে সেই গল্প বাসিনীর গ্রামের সবাই শুনেছে ।

২১) ‘কাঁদব না, সাধন বাবু, কাঁদব না ?’ – কে কেন একথা বলেছে ?

উঃ সতীশ মিস্তিরের জমিতে কাজ করেই উচ্ছব বেঁচে থাকে – কিন্তু সেই মনিবের জমিতেই যখন মড়ক লাগলো তখন উচ্ছব সেটা মেনে নিতে পারেনা ,কারন সেটাই তো তারও বেঁচে থাকার রসদ ।তাই প্রসঙ্গত সাধনবাবু যখন বলেন ‘অ উচ্ছব, মনিবের ধান যায় তো তুই কাঁদিস কেন ?’ তখন প্রতিউত্তরে উক্ত কথাটি উচ্ছব বলে ।

২২) ‘সেই সন্ধ্যায় অনেকদিন বাদে সে পেট ভরে খেয়েছিল।’- এখানে কে কোন সন্ধ্যায় পেট ভরে খেয়েছিল ?

উঃ যে রাতে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টিতে-বন্যায় উচ্ছবের বৌ-সন্তান সবাই হারিয়ে গেছিলো ,সেই দিন সন্ধ্যাবেলার কথা এখানে বলা হয়েছে ।

২৩) ‘সেই সন্ধ্যায় অনেকদিন বাদে সে পেট ভরে খেয়েছিল।’- কে কী দিয়ে পেট ভরে খেয়েছিল?

উঃ হিঞ্চে সেদ্ধ আর গুগলি সেদ্ধ নুন আর লঙ্কা পোড়া দিয়ে উচ্ছব পেট ভরে খেয়েছিল ।

২৪) ‘দেবতার গতিক ভালো নয়কো।’ – কে কখন একথা বলেছিল ?

উঃ ঝড়ের রাতে যেদিন উচ্ছবের বৌ সন্তান সব হারিয়ে গেছিল-সেদিন সন্ধ্যায় খেতে খেতে চুন্ননীর মা বলেছিল –‘দেবতার গতিক ভালো নয়কো।’

২৫) ‘কোথায় গেল সব,তুমি কোথায়, আমি কোথায়।’- কে কোন প্রসঙ্গে একথা বলেছিল ?

উঃ ঝড় বৃষ্টির মধ্যে যখন বন্যার জল উচ্ছবের সামন থেকে তার বৌ বাচ্চাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেলো, সেই প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে উচ্ছব একথা বলেছে ।

২৬) ‘বড় পিসিমা খনখনিয়ে ওঠে।’ কেন বড় পিসিমা খনখনিয়ে ওঠে ?

উঃ হোমের জন্য কাঠ কাততে এসে ক্ষুধার্ত উচ্ছব যখন অতীতের স্মৃতিচারনায় মগ্ন তখন বড় পিসিমা এসে খনখনিয়ে ওঠে বলে ‘কী হল, হাত চালাও বাছা।’

২৭) ‘তান্ত্রিকের নতুন বিধেন হল।’- তান্ত্রিকের নতুন বিধেন টি কী ?

উঃ তান্ত্রিকের নতুন বিধেন হয়েছে যে, সব কিছু রেধে রাখ,তবে হোম শেষ হলে খেও ।

0/Post a Comment/Comments