Bangla Notes : বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন

Bangla Notes : বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব লেখ ?

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন



উত্তরঃ বুড়ু চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের বিষয় হল রাধা কৃষ্ণের প্রণয়লীলা । বুড়ু চণ্ডীদাসের পূর্বে কবি জয়দেব সংস্কৃত ভাষায় এবং অন্য আরও অনেক কবি প্রাকৃত ভাষায় এই বিষয় নিয়ে কাব্য রচনা করেছেন । সুতরাং শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের বিষয়বস্তু বুড়ু চণ্ডীদাসের মৌলিক কল্পনায় নয় । কিন্তু বাংলাদেশে কৃষ্ণ কথা প্রচারের ধারায় শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে ।


প্রথমত- কৃষ্ণ কথার ধারায় জয়দেব এবং বৈষ্ণব পদাবলির মাঝখানে সেতু রচনা করেছে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।

দ্বিতীয়ত- শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন আদি মধ্যযুগীয় বাংলা ভাষার প্রথম নিদর্শন । সংস্কৃত , পুরান ও লৌকিক কাব্যধারার সংমিশ্রণে এই কাব্য রচিত ।


তৃতীয়ত- শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনে চৈতন্য দেব প্রচারিতর রাগানুগা ভক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত কৃষ্ণ কথার আধ্যাত্মিক মাহাত্ম নেই যা ষোড়শ সপ্তদশ শতাব্দীর বাংলার বৈষ্ণব পদাবলিতে বৃদ্ধিৃত তবুও একথা অনস্বীকার্য যে বাংলা দেশে কৃষ্ণ কথাকে ‘শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনের’ কবি বুড়ু চণ্ডীদাসই সর্ব প্রথম ভক্ত ও রসিক জনের কাছে পরিবেশন করেছেন ।


চতুর্থত- ভাগবতের শ্রীকৃষ্ণ ঐশ্বর্যময় প্রভু অথচ বৈষ্ণব পদাবলিতে প্রকাশিত শ্রীকৃষ্ণের পরিচয় দেখি প্রেমিক হিসাবে সখা হিসেবে কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনে শ্রীকৃষ্ণ প্রেমিক হলেও তার ঐশ্বর্যময় শক্তির প্রকাশ হয়েছে কংস নিধনের প্রয়াসে ।


সুতরাং সব দিক থেকেই শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের ঐতিহাসিক মূল্য ও গুরুত্ব স্বীকার করতেই হয়।

0/Post a Comment/Comments